দ্য আজাদ স্টাফ
আওয়ামী নেতারা স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হনন করছে
ড.তুহিন মালিক
স্বাধীনতার ৪৮ বছর। আওয়ামী লীগ টানা ১১ বছর ক্ষমতায়। বিএনপি জামাতসহ কোনরকম বিরোধী শক্তিই আজ কার্যত সক্রিয় নাই। আর আপনারা মনে করছেন, সরকার ভুল করেই ত্রুটিপূর্ণ রাজাকার তালিকা তৈরি করেছে! যেখানে সামান্য একটা ওয়ার্ড কমিটির সদস্য পদেও ব্লাড গ্রুপের পরীক্ষা নেয়া হয়। পুলিশের একটা সামান্য কন্সটেবলের পোষ্টেও চৌদ্দগুষ্ঠির ঠিকুজি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ এতবছরের মেহেনতের পর ভুলেভরা একটি রাজাকার তালিকা প্রনয়ন করবে- এটা আপনারা কি করে বিশ্বাস করেন?
আসলে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে না পারা আওয়ামী নেতারা স্বাধীনতার পর থেকে ইচ্ছা করেই দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হনন করে আসছে। যারা নিজেরা কখনও যুদ্ধ করেনি। এইসব পলাতক প্রবাসী ফুর্তিবাজরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবসায়িক পণ্য বানিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সবচাইতে বড় অবিচার করেছে। তাদের রাজনৈতিক চেতনাই হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে তাদের চেতনার বানিজ্যিক মুনাফাকে বৃদ্ধি করা। আর তারা খুব ভেবেচিন্তেই, খুব পরিকল্পিতভাবেই, ইচ্ছাকরেই এই বিভক্তিটা তৈরি করে যাচ্ছে। যার সর্বশেষ প্রমান, আজকের পরিকল্পিত ভুলেভরা এই রাজাকার তালিকাটি।
একটা উদাহরণ দেই। হজ্জ্ব মৌসুমে মক্কা-মদীনায় যত জায়নামাজ, টুপি, তজবী বিক্রি হয়, তার সিংহভাগই তৈরি হয় চায়নায়। তাই বলে চীন সবচাইতে বড় মুসুল্লি হয়ে যায় না। এটা তাদের ব্যবসা। ঠিক একইভাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজীর নামে ব্যবসায়ীরাও কখনও যুদ্ধ না করে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। তারা মুক্তিযাদ্ধা নয়, বরং অসাধু চেতনা ব্যবসায়ী।
লেখক আইন বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক