দ্য আজাদ স্টাফ
আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মজলুম জননেতা, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ড.তুহিন মালিক
যিনি যৌবনের শুরুতেই গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চিরদিনের জন্য গৃহত্যাগ করেন। যিনি সূফী এবং তাসাউফের সাধনা শেষে দেওবন্দ থেকে রবুবিয়াতের রাজনৈতিক দর্শনের শিক্ষা নিয়ে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
অথচ আওয়ামী লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ১৯৭২ সালের ৯ই এপ্রিল ঢাকার পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভায় তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন। দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে ১৯৭৪ সালে ভাসানীর ভুখা মিছিল বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে।
১৯৭৬ সালে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ভারতের সেবাদাসদের চক্ষুশূলে পরিনত হন। আর একারনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হয়েও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানটুকু পাননি। আওয়ামী লীগের কাছে তিনি কেবলই আজ এক বিস্মৃতির নাম।
হে রাব্বুল আলামীন, আপনি মজলুম জননেতা ভাসানী হুজুরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আর এই মজলুম দেশের বুকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা হাজারো দেশপ্রেমিক ভাসানীর জন্ম দিন।
লেখক ড.তুহিন মালিক