দ্য আজাদ স্টাফ
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন
আর কোনোদিন আদালতে যাবেন না অজয় রায়
দ্য আজাদ ডেস্ক
পুত্র হত্যার বিচার চেয়েছিলেন৷ বয়স হয়েছে, শরীর কাহিল হতে হতে চলার শক্তি হারাতে বসেছে, অথচ বিচারকাজ এগোচ্ছে না দেখে বলেছিলেন, ‘‘আমি আর আদালতে যাবো না৷’’ সত্যিই আর কোনোদিন বিচার চাইতে আদালতে যাবেন না অজয় রায়৷ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক অজয় রায় মৃত্যুবরণ করেন৷ শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায়ের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর৷ ফুসফুসের সংক্রমণের পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি৷
বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে কয়েকমাস আগে বলেছিলেন, ‘‘আমি আর আদালতে যাবো না৷ সন্তান হারানোর বেদনা নতুন করে মনে জাগাতে চাই না৷” তার এই বক্তব্যের পর অভিজিতের বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়৷ মামলাটি চলছে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে৷ গত ১০ অক্টোবর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়৷ তবে সেই পদে এখন পর্যন্ত নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি৷ সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটাররা মামলাটি চালাচ্ছেন৷
‘‘প্রায় ৫ বছরেও শেষ হয়নি বিচার’’ অধ্যাপক অজয় রায়ের মৃত্যুর পর অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত ছেলের বিচার দেখে যেতে পারলেন না অধ্যাপক অজয় রায়৷ প্রায় ৫ বছরেও শেষ হয়নি বিচার৷ এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জ্বার৷ আমিও ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারব এটা বিশ্বাস করি না৷ আমিও আদালতে যাচ্ছি না৷ তবে আদালত যদি মনে করে, আমাকে যেতে হবে, আমি যাবো৷ কিন্তু আমি বিচার চাই না৷ শুধু চাই অপশক্তির বিরুদ্ধে মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক৷”
অধ্যাপক অজয় রায়ের মতো অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকও সন্তানহারা৷ অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জঙ্গিদের হাতে খুন হন৷ আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল আরেফীন দীপনও জঙ্গিদের হাতে খুন হন একই বছরের ৩১ অক্টোবর, আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রতিষ্ঠানে৷ অধ্যাপক হক বলেন, ‘‘বিচার চেয়ে কী হবে? কে বিচার করবে? তবে রাষ্ট্রের জন্য বিচারের প্রয়োজন৷ আমরা চাই, রাষ্ট্র এই কাজটা করুক৷ অপশক্তি পরাজিত হোক৷”
বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা দাউদ হায়দার লেখালেখির জন্য মৌলবাদীদের হুমকি-ধমকিতে প্রথম বাংলাদেশ ছাড়তে হয় দাউদ হায়দারকে৷ ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ নামে একটি কবিতার জন্য স্বাধীনতার পরপর তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল মৌলবাদীরা৷ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কবিতাটি প্রত্যাহার করে দাউদ হায়দার ক্ষমা প্রার্থণা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ তিনি গ্রেপ্তার হন৷ মুক্তির পর তাঁকে কলকাতাগামী বিমানে তুলে দেয়া হয়৷ তিনি জার্মানিতে রয়েছেন৷
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. আহমদ শরীফ বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা ড. আহমদ শরীফ দেশের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড. আহমদ শরীফের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালের শেষের দিকে মৌলবাদীরা মাঠে নামে৷ ওই বছরের শুরুর দিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ‘একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হয়৷ ড. আহমেদ শরীফও ওই কমিটির সদস্য ছিলেন৷ কমিটির আন্দোলনে চাপে পড়ে ‘যুদ্ধাপরাধীদের দল’ হিসেবে পরিচিত জামায়াত৷ সেই পরিস্থিতিতেই আহমদ শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমানননার অভিযোগ তোলা হয়৷ জামায়াত এ বিষয়ে সংসদেও কথা বলে৷
তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা তসলিমা নাসরিন ড. আহমদ শরীফের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর কিছুদিনের মধ্যে তসলিমা নাসরিনের নামও সেখানে যুক্ত হয়৷ ১৯৯৪ সালে তসলিমা বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে৷ আগের বছর প্রকাশিত ‘লজ্জা’ উপন্যাসকে ঘিরেই মৌলবাদী বিভিন্ন সংগঠন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তাঁর ফাঁসি দাবি করে৷ হত্যার ফতোয়া দিয়ে তাঁর মাথার দামও ঘোষণা করা হয়৷ এক পর্যায়ে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়৷
বাবা হুমায়ুন আজাদের ছবি হাতে ছেলে বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা হুমায়ুন আজাদ ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ নামে একটি বইয়ের জন্য ‘প্রথাবিরোধী’ লেখক হুমায়ুন আজাদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে মাঠে নামে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন৷ এর মধ্যে একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা হয়৷ সে বছরেরই আগস্ট মাসে জার্মানির মিউনিখে তাঁর মৃত্যু হয়৷
শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা শাহরিয়ার কবির সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা নানা ধরণের হুমকির শিকার হয়ে আসছিলেন, তাদের মধ্যে শাহরিয়ার কবির অন্যতম৷ দীর্ঘদিন যাবত তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনের হাল ধরে আছেন৷ ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর এবং গণজাগরণ মঞ্চে সক্রিয় হওয়ার পর তিনি ও তার সহকর্মীরা অনেকবার হত্যার হুমকি পান৷
জাফর ইকবাল বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা জাফর ইকবাল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক এবং শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালকেও নানা সময়ে মৌলবাদীরা হত্যার হুমকি দিয়েছে৷ ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী-কে হত্যার হুমকি দেয়৷ এরা আগের বছরও তাঁকেসহ প্রগতিমনা ২০ জনকে হত্যার হুমকি দেয়৷ মৌলবাদীদের হামলায় নিহত হন রেজাউল করিম সিদ্দিকী এবং একেএম শফিউল ইসলাম নামের দু’জন শিক্ষাবিদ ও বেশ কয়েকজন বিদেশি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু৷
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী পরিবারের প্রভাবশালী সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় দাপটের সাথেই ছিলেন৷ হজ নিয়ে করা মন্তব্যের পর তাঁর ফাঁসির দাবিতে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন মাঠে নামে৷ এক পর্যায়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে পরিচিত এই মন্ত্রী দলীয় পদ, মন্ত্রিত্ব সবই খোয়ান৷
সুলতানা কামাল বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা সুলতানা কামাল সাম্প্রতিক সময়ে মৌলবাদীদের টার্গেটে পরিণত হন মানবাধিকার কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা সুলতানা কামাল৷ একটি টেলিভিশন বিতর্কে পাল্টা যুক্তি দিতে গিয়ে বলা এক কথার পর তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নামে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার বা দেশ ছাড়া করার দাবিও জানায় তারা৷
হামলার প্রতিবাদ বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা কেবল হুমকি নয়, খুনও হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর হুমকি দেয়া শুরু হয় গণজাগরণ মঞ্চ শুরুর পর৷ ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে তরুণ-তরুণীরা শাহবাগে আন্দোলন শুরু করলে মঞ্চকর্মীদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে হুমকি দেয়া শুরু হয়৷ এর মাঝে খুন হন মঞ্চকর্মী রাজিব হায়দার৷ একে একে নিহত হন অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত, নিলয় ও দীপনসহ অনেকে৷ হুমায়ুন আজাদসহ প্রায় সব হামলায়ই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়৷
আহমেদুর রশীদ টুটুল বাংলাদেশে ‘হুমকিতে’ প্রগতিশীলতা বাঁচার জন্য দেশত্যাগ ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার লালমাটিয়ায় হামলা হলেও প্রাণে বেঁচে যান ‘শুদ্ধস্বর’-এর আহমেদুর রশীদ টুটুল৷ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেও আতঙ্কে স্বাভাবিক চলাফেরায় ফিরতে পারেননি৷ এক পর্যায়ে তিনি দেশ ছাড়েন৷ তাঁর সঙ্গে আহত হওয়া ব্লগার তারেক রহিমও ওই সময় দেশত্যাগ করেছিলেন৷ গত ৩-৪ বছরে আরও অনেক ব্লগার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন৷
বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অধ্যাপক অজয় রায় তো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বিচার ব্যবস্থার অবস্থা৷ এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার৷ মৃত্যুর আগে আমরা তার ছেলে হত্যার বিচার করতে পারলাম না৷ শুধু উনি নন, এমন বহু উদাহরণ আমাদের আছে৷ শুধুমাত্র রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে যদি কোনো হত্যার বিচার দ্রুত করতে বলা হয়, তখন সেটা হচ্ছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে হচ্ছে না৷ আরেকটি কথা বলি, কাল আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার শুরু হচ্ছে৷ সেখানে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ আমার প্রশ্ন, এই বিচারে বাংলাদেশের আগ্রহ আছে, কিন্তু দেশের মধ্যে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেটার তো বিচার হচ্ছে না৷ আমরা চাই সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার হোক, সবাই বিচার পাক৷”
একুশের বইমেলা থেকে বেরিয়ে জঙ্গিদের হামলায় মারা যান অভিজিৎ৷ তারপর তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজয় রায় বাদী হয়ে মামলা করেন৷ হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর গত ১৩ মার্চ ছয় জঙ্গিকে আসামি করে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দেন তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)-র পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম৷ গত ১ অগাস্ট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার৷
না যেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত গত ২৯ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন অজয় রায়৷ বিচারকের এজলাসে চেয়ারে বসে জবানবন্দি দেন তিনি৷ তাকে জেরাও করা হয়৷ জেরার এক পর্যায়ে অজয় রায় বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ তিনি আসামিপক্ষের আইনজীবীদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার কারণ জানতে চান৷ পরে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি বয়স্ক৷ আমি আর আদালতে আসতে পারবো না৷” এ সময় বিচারক বলেন, ‘‘আপনার সাক্ষ্য দেওয়া আজকেই শেষ হবে৷ আর আসতে হবে না৷” পরে আইনজীবীরা জেরা শেষ করেন৷
অভিজিৎ হত্যার পর ওই বছরেই তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা ফেসবুকে দীর্ঘ পোষ্ট দিয়ে বলেন, ‘‘আমিও বিচার চাই না৷” বন্যা লিখেছিলেন, ‘‘দীপনের বাবার মতো আমিও বিচার চাই না৷ আমি নিশ্চিত জানি, টুটুলের স্ত্রী, দীপনের স্ত্রী, অনন্তের বোন, রাজিব, বাবু, নীলয়ের বন্ধুরাও আর বিচার চান না৷ বাবাকে (ড. অজয় রায়) ফোন করলে উনি এখনো আশার কথা বলেন, জীবন যে থেমে থাকে না সেটা বলেন, আমাকে অনুপ্রেরণা দেন যাতে আমি থেমে না যাই, আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে বলেন৷ আশি বছরের একজন সন্তানহারা পিতার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যাই, নিজেকে বলি, ওনারা এরকম ছিলেন বলেইতো একাত্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছিলেন৷ কিন্তু আমরা পারিনি, আমাদের প্রজন্ম পারেনি, সংখ্যায় ওরা ক্রমাগত বাড়ছে, খালি মাঠে যেভাবে আগাছা বেড়ে ওঠে প্রবল উদ্যমে৷ আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতাই ওদের এভাবে আগাছার মতো বাড়তে দিচ্ছে৷”
সরকারের সমালোচনা কলে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘এই সরকারের কাছ থেকেও কিছু চাওয়ার নেই আমাদের, একটাই অনুরোধ ওনাদের কাছে, দয়া করে দিনরাত আর ‘আমরা সেক্যুলার পার্টি’ বলে গলা ফাটিয়ে নিজেদের এনার্জি নষ্ট করবেন না৷ আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করেই থাকুন৷”
বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় কিনা জানতে চাইলে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কারণেই তো মানুষ বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন৷ আমাদের দেশে তো বিচারে শাস্তির হার খুবই কম৷ এর প্রধান কারণ দীর্ঘসূত্রিতা৷ রাষ্ট্র চাইলে যে দ্রুত বিচার হতে পারে, তার প্রমান নূসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা৷ ৫ সপ্তাহের মধ্যে কিন্তু পুলিশ চার্জশিট দিয়ে দিয়েছে৷ এরপর বিচারের রায়ও বের হয়েছে৷ আমি চাই বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বের হতে সরকারের যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করা হোক৷”