দ্য আজাদ স্টাফ
একুশে পদক ও একজন শহীদ জিয়াউর রহমান
১৯৭৬ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় পদক একুশে পদক প্রবর্তন করেছিলেন এদেশের বিভিন্ন গুনীজনদের রাস্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও সম্মান দেয়ার জন্য সেই থেকে আজ অবধি এই সম্মাননা প্রদানটা নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে দলমতের উর্ধে উঠে এদেশের জ্ঞানী গুণীজনদের দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন সেই উদ্দেশ্যটা কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি? আসুন প্রথমে জেনে নিই জিয়াউর রহমানের ৪ বছর ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের দুই মেয়াদের দেয়া একুশে পদক প্রাপ্তরা কারা কারা ছিলেন? ১৯৭৬ সালের একুশে পদক প্রাপ্তরা হলেন – • আবদুল কাদের- সাহিত্য • জসীমউদ্দীন – সাহিত্য • কাজী নজরুল ইসলাম- সাহিত্য • সুফিয়া কামাল- সাহিত্য • আবুল কালাম শামসুদ্দীন- সাংবাদিকতা • মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা – শিক্ষা • আবদুস সালাম- সাংবাদিকতা • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া- সাংবাদিকতা • মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন- শিক্ষা
১৯৭৭ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ১৩ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৭৭” প্রদান করা হয়। • ফররুখ আহমদ- সাহিত্য • মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা- সাহিত্য • মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন- সাহিত্য • শামসুর রাহমান- সাহিত্য • গুল মোহাম্মদ খান- সংগীত • আবদুল আলীম- সংগীত • আলতাফ মাহমুদ- সংগীত • ফেরদৌসী রহমান- সংগীত • জহির রায়হান- নাট্যকলা • রশিদ চৌধুরী- চারুকলা • ইবরাহীম খাঁ- শিক্ষা • এ কে এম আইয়ুব আলী- শিক্ষা • খন্দকার আবদুল হামিদ- সাংবাদিকতা
১৯৭৮ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৯ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৭৮” প্রদান করা হয় আহসান হাবীব – সাহিত্য খান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন- সাহিত্য নুরুল মোমেন- সাহিত্য মাহবুব উল আলম চৌধুরী- সাহিত্য সুফী জুলফিকার হায়দার- সাহিত্য আভা আলম- সংগীত সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন- শিক্ষা সফিউদ্দিন আহমদ- শিল্পকলা শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন- সাংবাদিকতা
১৯৭৯ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৭ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৭৯” প্রদান করা হয় • আজিজুর রহমান -সাহিত্য • বেনজির আহমেদ- সাহিত্য • শেখ লুৎফর রহমান -সংগীত • আব্দুল লতিফ -সংগীত • মুহম্মদ এনামুল হক- শিক্ষা • মোহাম্মদ মোদাব্বের- সাংবাদিকতা • আবদুল ওয়াহাব- সাংবাদিকতা ১৯৮০ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৮ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৮০” প্রদান করা হয়।
• আবুল হোসেন -সাহিত্য • বেদার উদ্দিন আহমদ -সংগীত • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার -সংগীত • হামিদুর রহমান -চিত্রকলা • মুর্তজা বশীর -চিত্রকলা • রণেন কুশারী -নাট্যকলা • মুজীবুর রহমান খান -সংবাদিকতা • মোহাম্মদ ফেরদাউস খান -শিক্ষা
১৯৮১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৯ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৮১” প্রদান করা হয়। • আবু রুশদ মতিন উদ্দিন- সাহিত্য • আমিনুল ইসলাম- চারুকলা • আবদুল হালিম চৌধুরী- সংগীত • মমতাজ আলী খান- সংগীত • গওহর জামিল- নৃত্যকলা • মোহাম্মদ জাকারিয়া- নাট্যকলা • জহুর হোসেন চৌধুরী- সাংবাদিকতা • ওবায়েদ-উল হক- সাংবাদিকতা • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম- শিক্ষা
১৯৯১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৮ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯১” প্রদান করা হয়।
• আহমদ শরীফ -সাহিত্য • কবীর চৌধুর – সাহিত্য • সানজীদা খাতুন -সংগীত • কাজী আবদুল বাসেত- চারুকলা • মোহাম্মদ আমিনুল হক- নাট্যকলা • সালাহ্উদ্দীন আহমদ -শিক্ষা • এ এম হারুন-অর-রশীদ- শিক্ষা • ফয়েজ আহমদ- সাংবাদিকতা
১৯৯২ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৯ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯২” প্রদান করা হয়। • দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ – সাহিত্য • মোবাম্ভের আলী – সাহিত্য • শাহনাজ রহমতউল্লাহ – সংগীত • হাশেম খান – চারুকলা • আমজাদ হোসেন – নাট্যকলা • এমাজউদ্দীন আহমদ – শিক্ষা • খান মোহাম্মদ সালেক – শিক্ষা • গিয়াস কামাল চৌধুরী – সাংবাদিকতা • আতাউস সামাদ – সাংবাদিকতা
১৯৯৩ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৯ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯৩” প্রদান করা হয়। • মনিরউদ্দীন ইউসুফ- সাহিত্য • রাবেয়া খাতুন- সাহিত্য • মোহাম্মদ আসাফউদ্দোলাহ- সংগীত • ফজলুল হক – সংগীত • রফিকুন নবী -চারুকলা • দিলারা জামান – নাট্যকলা • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী- শিক্ষা • রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ – সাংবাদিকতা • জুয়েল আইচ – যাদুশিল্প
১৯৯৪ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৮ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯৪” প্রদান করা হয়। • সরদার জয়েনউদ্দীন – সাহিত্য • হুমায়ুন আহমেদ – সাহিত্য • আবু তাহের – চারুকলা • আলি মনসুর – নাট্যকলা • নীনা হামিদ – কণ্ঠসঙ্গীত • শাহাদাত হোসেন খান – যন্ত্রসঙ্গীত • মোহাম্মদ নোমান – শিক্ষা • হাসানউজ্জামান খান – সাংবাদিকতা
১৯৯৫ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৮ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯৫” প্রদান করা হয় • আহমদ রফিক- সাহিত্য • মোস্তফা জামান আব্বাসী- সংগীত • রথীন্দ্রনাথ রায় – সংগীত • রওশন জামিল – নৃত্যকলা • আবদুল করিম- শিক্ষা • ইয়াজউদ্দিন আহমেদ – শিক্ষা • নিজামুদ্দিন আহমেদ – সাংবাদিকতা • শাইখ সিরাজ – সাংবাদিকতা
১৯৯৬ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৭ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ১৯৯৬” প্রদান করা হয়। • হাসনাত আবদুল হাই – সাহিত্য • রাহাত খান – সাহিত্য • এ কে এম ফিরোজ আলম – সংগীত • মুহম্মদ আবদুল হাই- শিক্ষা • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী -শিক্ষা • মোহাম্মদ শাহজাহান – শিক্ষা • মোহাম্মদ কামরুজ্জামান – সাংবাদিকতা ২০০২ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানেন জন্যে দেশের ১৪ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০০২” প্রদান করা হয়। • মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী – ভাষা আন্দোলন • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ – সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলন • সুফিয়া আহমেদ – সাংস্কৃতিক বিকাশ ও ভাষা আন্দোলন • সাদেক খান – ভাষা আন্দোলন ও চলচ্চিত্র • মঞ্জুর হোসেন – ভাষা আন্দোলন • কাজী গোলাম মাহবুব – ভাষা আন্দোলন • আহমদ ছফা- সাহিত্য • রমেশ শীল- গণসংগীত • গাজী মাজহারুল আনোয়ার -সংগীত • আবদুল জব্বার খান – চলচ্চিত্র • শরীফ হোসেন – শিক্ষা • প্রতিভা মুৎসুদ্দি – শিক্ষা • আবুল কালাম আজাদ- শিক্ষা • সিরাজুর রহমান – সাংবাদিকতা
২০০৩ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানেন জন্যে দেশের ১২ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০০৩” প্রদান করা হয়।
• আল মুজাহিদী – সাহিত্য • আনজুমান আরা বেগম – সংগীত • লোকমান হোসেন ফকির – সংগীত • খান আতাউর রহমান -চলচ্চিত্র • আবদুল মান্নান সৈয়দ -গবেষণা • মুহম্মদ শামস-উল-হক – শিক্ষা • মুহাম্মদ একরামুল হক- শিক্ষা • জেবুন্নেসা রহমান- শিক্ষা • জোবেদা খানম – শিক্ষা • মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মোস্তান -সাংবাদিকতা • আবদুল হামিদ -সাংবাদিকতা (ক্রীড়া) • ইউনেস্কো – বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মাঝে যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরার জন্য ২০০৪ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানেন জন্যে দেশের ১০ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০০৪” প্রদান করা হয়। • ফরিদা হোসেন- সাহিত্য • নীলুফার ইয়াসমীন- সংগীত • মনিরুজ্জামান মনির- সংগীত • মুস্তাফা মনোয়ার- চারুকলা • চাষী নজরুল ইসলাম- চলচ্চিত্র • মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা – শিক্ষা • ওয়াকিল আহমদ- গবেষণা • এ.জেড.এম এনায়েতুল্লাহ – সাংবাদিকতা • নবাব ফয়জুন্নেছা – সমাজসেবা • যোবায়দা হান্নান- সমাজসেবা
২০০৫ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানেন জন্যে দেশের ১৪ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০০৫” প্রদান করা হয়[ • মো সাইফুর রহমান – ভাষা আন্দোলন • খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন – ভাষা আন্দোলন • মোহাম্মদ আবদুল গফুর – ভাষা আন্দোলন • সৈয়দ মুজতবা আলী – সাহিত্য • জুবাইদা গুলশান আরা – সাহিত্য • আসহাব উদ্দীন আহমদ – সাহিত্য • আবু সালেহ – সাহিত্য • বশির আহমেদ – সংগীত • আবু সাত্তার মোহাম্মদ শাহ জামান – সংগীত • আপেল মাহমুদ সংগীত • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ – শিক্ষা • ইকবাল মাহমুদ – শিক্ষা • চিত্তরঞ্জন সাহা- শিক্ষা • মোঃ মাশির হোসেন – সাংবাদিকতা • মহাসংঘনায়ক শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাথের – সমাজসেবা ২০০৬ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানেন জন্যে দেশের ১৩ জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০০৬” প্রদান করা হয়। • আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ – সাহিত্য • মোঃ নূরুল ইসলাম – সাহিত্য • রওশন আরা মুস্তাফিজ – সংগীত • আনোয়ার উদ্দিন খান – সংগীত • ফাতেমাতুজজোহরা – সংগীত • হামিদুজ্জামান খান – ভাষ্কর্য • জসীম উদ্দিন আহমদ- শিক্ষা • সুকোমল বড়ুয়া – শিক্ষা • আনোয়ারা বেগম – শিক্ষা • এম. আসাদুজ্জামান- শিক্ষা • আফতাব আহমেদ – আলোকচিত্র • গাজীউল হাসান খান– সাংবাদিকতা • শাহাদত চৌধুরী – সাংবাদিকতা
এই হলো ১৯৭৬ সালে প্রবর্তন করা একুশে পদকের জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলের তিন মেয়াদের (১৫ বছর) পদক প্রাপ্তদের তালিকা।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান গুম হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশেই যা সেই সময়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল চলছিল যারা জহির রায়হানকে উদ্ধার করা তো দূরের কথা তদন্ত কমিটির রিপোর্টই প্রকাশ করেনি। সেই জহির রায়হান জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানালেন ১৯৭৬ সালের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মরণোত্তর শাখায় পদক দিয়ে এবং ২য় বার সম্মান প্রদর্শন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে দেয়া একুশে পদকের মাধ্যমে এবং ৩য় বার সম্মান প্রদর্শন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা পদক দেয়ার মাধ্যমে । অর্থাৎ এখন পর্যন্ত জহির রায়হানের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি তিনটিরই জিয়াউর রহমান ও বিএনপির শাসনকালে ……অথচ জহির রায়হানের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও বড় ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে জিয়াউর রহমান হলেন ‘’পাকিস্তানের এজেন্ট’’, ‘’রাজাকার’’, ‘’দেশবিরোধী’’ একজন ব্যক্তি এবং তাঁর দল বিএনপি হলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি !!!!
সুরকার আলতাফ মাহমুদ ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসেই নিখোঁজ হয়েছিলেন । সেই আলতাফ মাহমুদকে ১ম রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন শহীদ রাস্ত্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে এবং ২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা পদক প্রদানের মাধ্যমে ২য় বার রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করেন অর্থাৎ আলতাফ মাহমুদের পাওয়া ২টি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বিএনপির শাসনামলে তবুও আলতাফ মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের কাছে জিয়াউর রহমান হলেন ‘’পাকিস্তানের এজেন্ট’’, ‘’রাজাকার’’, ‘’দেশবিরোধী’’ একজন ব্যক্তি এবং তাঁর দল বিএনপি হলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি !!!! দুদিন আগে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ রসিকতার নামে নোংরা ভাষায় আক্রমন ও কটাক্ষ করেন !!!!!
প্রথম আলোর উপ-ফিচার সম্পাদক জাহীদ রেজা নূর, পিএইচডি গবেষক তৌহিদ রেজা নূর, ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও প্রজন্ম ‘৭১’র সভাপতি শাহীন রেজা নূরের বাবা সিরাজুদ্দিন হোসেন ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের একজন। সেই সিরাজুদ্দিন হোসেনকেও সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে। …… ……অথচ সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জিয়াউর রহমান হলেন ‘’পাকিস্তানের এজেন্ট’’, ‘’রাজাকার’’, ‘’দেশবিরোধী’’ একজন ব্যক্তি এবং তাঁর দল বিএনপি হলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি !!!! ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হওয়া খ্যাতিমান সাহিত্যিক মুনির চৌধুরীকে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালের স্বাধীনতা পদক প্রদানের মাধ্যমে। ……অথচ মুনির চৌধুরীর ভাই কবির চৌধুরী ও বোন ফেরদৌসি মজুমদার সহ পরিবারের সদস্যদের কাছে জিয়াউর রহমান হলেন ‘’পাকিস্তানের এজেন্ট’’, ‘’রাজাকার’’, ‘’দেশবিরোধী’’ একজন ব্যক্তি এবং তাঁর দল বিএনপি হলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি !!!!
…উল্লেখিত বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যরাই শুধু অকৃতজ্ঞ নন এই অকৃতজ্ঞের তালিকায় আরও আছেন কবি শামসুর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, সুফিয়া কামালের মতো ব্যক্তিবর্গ ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও অথচ উনারা ভুলে যান যে উনাদের ভাষায় তথাকথিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি ,শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরেই উনাদের পুর্বপুরুষরা এদেশে স্বীকৃতি ও সম্মান পেয়েছিলো।
খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখুন যে উল্লেখিত তালিকায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন সব ব্যক্তিদের একুশে পদক প্রদান করতেন যারা সকল দলমতের উর্ধে উঠে সকলের কাছে শ্রদ্ধার ও স্মরনীয় ব্যক্তিত্ব যাদের শিক্ষা, সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন , সাংবাদিকতা ও সমাজসেবামুলক কর্মকান্ডে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়েছে। যারা কোন দলের বা গোষ্ঠীর সম্পদ নয় পুরো জাতির সম্পত্তি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন সব দলমত, ধর্ম, বর্ণের গোষ্ঠীকে একই সুতোয় গেঁথে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তবাদে’ উজ্জীবিত করে দেশ ও জাতির কল্যানে জ্ঞানী গুণীজনদের কাজে লাগাতে। যাকে যেখানে মানায় বা যার যা কাজ তাঁকে দিয়ে সেই কাজটিই যথাযথভাবে করাতে পারতেন শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । দলমতের উর্ধে উঠে যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দেশকে পরিচালনার জন্য জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় শাসনামল হিসেবে ঠাই করে নিয়েছিলো অথচ এরপর আমরা সেই ঐক্যবদ্ধ জাতি থেকে আজ সরে এসেছি, আমরা হয়ে উঠেছি নৃশংস, নির্মম ও কাপুরুষ এক জাতি যারা দেশটা রসাতলে গেলেও চোখ বন্ধ করে থাকে।।
*সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে তথ্য প্রদানের কারণে লিখাটি অতিদীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় । তথ্যগুলো না দিলে আপনাদের কাছে কথাগুলো অস্পষ্ট বা মিথ্যা বানোয়াট লাগতো ।