দ্য আজাদ স্টাফ
দীর্ঘ দুই দশক যুদ্ধের পর কাতারের রাজধানী দোহায় পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে তালেবান-আমেরিকা শান্তি চুক্তি। ফলে আমেরিকা-তালেবানদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটার কথাই ছিল।
এ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দু’পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এতে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে গত শনিবার সকালে তালেবান তাদের সকল যোদ্ধাদের যে কোনো ধরনের আক্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করে। এ চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা তাদের সেনা আগামী ১৪ মাসের মধ্যে তুলে নিতে সম্মত হয়।
তবে চুক্তির পরেরদিনই বেঁকে বসেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণী। চুক্তির অন্যতম গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় ৫ হাজার তালেবান সদস্যাকে মুক্তি দিতে অসম্মতি জানান তিনি।
এতে করে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২০ জন।
আফগান সেনা ও তালেবানদের এই দ্বন্দ্ব থেকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের চারদিনের মাথায়ই তালেবান সদস্যদের লক্ষ্য করে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।
বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে এ হামলা চালানো হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে। আফগানিস্তানে আমেরিকা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কর্নেল সনি লেগেট জানান, ওয়াশিংটন শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও তালেবানদেরও তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে এবং ‘অপ্রয়োজনীয় হামলা’ বন্ধ করতে হবে। বুধবারের হামলাটি ‘আত্মরক্ষামূলক’ ছিল বলেও জানান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে বিমান হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তাছাড়া তালেবানদেরও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন