দ্য আজাদ স্টাফ
কেন আমরা মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে অযথা কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছি ? ড.তুহিন মালিক
দি আজাদ ডেস্ক
অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৩) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : ‘এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য দেয়ালস্বরূপ, যার একাংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে। অতঃপর তিনি তার হাতের আঙুলগুলো প্রবিষ্ট করে দেখালেন’। (সহিহ বুখারি) কওমি, আলীয়া, আহলে হাদীস, মাজহাবী, দেওবন্দী, তাবলীগ, হেফাজত, জাকির নায়েক, শায়খ, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন-সবাই আমরা নিজেদের মাজহাব, তরীকা, মত, পথ, দলকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করি, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করে কেন ইসলামের বৃহত্তর ঐক্যের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছি ? এতে কি আমরা নিজেদেরকে ইসলামের দুশমনদের কাছে হাসির পাত্রে পরিনত হবার সুযোগ করে দিচ্ছি না ?
একটা ছোট্র গল্প মনে পড়লো। দয়া করে একবারের জন্য অন্তত শুনুন- “৯” সংখ্যা, “৮” সংখ্যাকে একবার জোড়ে এক চড় মারল। তখন কাঁদতে কাঁদতে ৮ সংখ্যা জিজ্ঞাসা করল, “আমাকে মারলে কেন?” “৯” সংখ্যা বলল আমি বড় তাই মেরেছি। এ কথা শুনে “৮” সংখ্যা, ”৭” সংখ্যাকে জোড়ে চড় বসিয়ে দিল। সেও অনুরূপভাবে অজুহাত দিয়ে বলল, “আমি বড় তাই মেরেছি। এরপর এদের দেখাদেখি একে একে ”৭”, ”৬”-কে; ৬, ৫-কে; ৫, ৪-কে; ৪, ৩-কে; ৩, ২-কে; আর ২, ১-কে চড় মারল। হিসাব মত এবার ১-এর শূন্যকে মারার পালা। কিন্তু “১” মারল না। বরং সে ভালোবেসে শূন্যকে নিজের পাশে বসালো। এতে করে দু’জনে মিলে “১০” সংখ্যা হয়ে গেল। তারা এবার ৯-এর থেকেও বেশী শক্তিশালী হয়ে গেল। তারপর থেকে “১০” সংখ্যাকে সবাই ভয় পেতে বাধ্য হলো।
তাই নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে একে অন্যের হাত ধরি। নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তি বৃদ্ধি করি।
লেখক ড. তুহিন মালিক