দ্য আজাদ স্টাফ
‘খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা হচ্ছে’
আজাদ ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে দেশে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে নতুন করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের গন্ধ পাচ্ছি।
আবদুর রহমান বলেন, আমি এই পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মী বেঁচে থাকতেও আর কোনো অশুভ শক্তিকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। রাজপথে আর কোনো দিনই তাদের জায়গা হবে না।
মঙ্গলবার খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি একমাত্র আদালতেই হবে, এর বাইরে আর কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। যদি বিএনপি এর বাইরে বা রাজপথে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠিন হাতে সেই আন্দোলন প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, আপনারা সেই নেতাকর্মী, যারা একাত্তরে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করে এ দেশকে শত্রু মুক্ত করেছেন। আপনারা সেই নেতাকর্মী যারা জিয়াউর রহমান ও এরশাদের স্বৈরশাসন মোকাবেলা করে গণতন্ত্রের মুক্তি এনেছেন। আপনারাই আগামী দিনে এ দেশের জন্য শেখ হাসিনাকে একমাত্র অপরিহার্য করে তুলতে কাজ করেছেন।
আবদুর রহমান বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের পর নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন আপনারা সেদিন গর্জে উঠেছেন। নেত্রীর মুক্তির ডাক দিয়ে আপনারা সেদিন কাঁপানো রাজপথকে জনতার মিছিলে পরিপূর্ণ করে সেই স্বৈরশাসককে বাধ্য করেছিলেন শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, যে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে মানবঢাল রচনা করে রক্ষা করে সেই নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে কেউ কোনো দিনই স্পর্শ করতে পারবে না। যত ষড়যন্ত্রই হোক আমরা সেই সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছি এবং আগামী দিনেও করবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২০০১ সালের পর খুলনার রাজনীতির আকাশে নির্যাতনের এমন কালো মেঘ নেমে এসেছিল। সেদিন বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের হাত থেকে আওয়ামী লীগের কোনো লোক রেহাই পায়নি। সেদিন এক কর্মীর একটি চোখ উপড়ে ফেলেছিল আর তাকে বলা হয়েছিল- আর কোনোদিন জয়বাংলা স্লোগান দিবি না। যদি দেস তাহলে তোর অপর চোখটিও তুলে নেব। কিন্তু সেদিন সেই কর্মী বলেছিল, তোমরা এক চোখ তুলে নিয়েছ প্রয়োজনে অপর চোখও তুলে নিতে পার, তারপরও আমার হৃদয়ে যে জয়বাংলার সুর তুলেছি সেই জয়বাংলা কোনো দিনই মুখ থেকে ভুলে যাব না। উৎস যুগান্তর