দ্য আজাদ স্টাফ
গণতন্ত্রের আসন্ন মুক্তি ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রসঙ্গ
শামসুল আলম
আজ ২০ নভেম্বর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই; সুস্বাস্থ্য, কর্মময় দীর্ঘজীবন এবং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবনে সাফল্য কামনা করি।
রাজনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিএনপি এবং অংগ ও সহযোগি সংগঠনসমুহ দিবসটি উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালন করছে। এ নিয়ে অনেকে স্মৃতিচারণ করছেন, কেউবা গঠণমূলক লেখা লিখছেন। বিপক্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ তথা ভারতপন্থীরা তারেক রহমানকে ভয় পায় যমের মতন, তাকে নিয়ে তারা প্রতিদিন নেগেটিভ প্রচারণা করে থাকে। দলটির প্রধান শেখ হাসিনা এতটাই বিরক্ত এবং শত্রুজ্ঞান করে যে, তারেক রহমানের কথা বার্তা বা বক্তব্য প্রচার করা নিষিদ্ধ করেছে আদালত ব্যবহার করে। সব মিলিয়ে, সম্ভবত বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত নাম তারেক রহমান!
তারেক রহমানের পক্ষে সাফাই না গেয়েও বলা যায়, তিনিও দোষে গুণে মানুষ। তারেক রহমান যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতি করেন, তাই তার ভক্ত যেমন থাকবে, এক শ্রেণীর সমালোচকও থাকবে। তার সমর্থকের সংখ্যা যেমন কোটি কোটি, তেমনি একটা গ্রুপ থাকবে, যারা তাকে পছন্দ করবে না- এটাই রাজনীতি। একজন মানুষ সব কাজ এমনভাবে করতে পারে না, যা সবাই পছন্দ করবে। আমি হাওয়া ভবনে নিয়মিত ছিলাম না, কেবল প্রয়োজনমত যেতাম। কাছে থেকে তারেক রহমানকে দেখার সুযোগ হয়েছে প্রায় পনের বছরের অধিক কাল। আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো!
২০০০ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তারেক রহমান বনানীতে একটি রাজনৈতিক অফিসে বসতেন। ভাড়া করা ঐ ভবনটির মালিক ছিলেন একজন আওয়ামীলীগ নেতা, যিনি তার স্ত্রীর নামে ঐ বিল্ডিংটির নাম রেখেছিলেন ‘হাওয়া ভবন’। কাজেই ‘হাওয়া ভবন’ বিএনপির কোনো সম্পত্তি নয়, ব্যবহারকারী ছিল মাত্র! ঐ ভবনে বসে তারেক রহমান যেমন ২০০১ সালের নির্বাচন পরিচালনা করে বিজয়ী হয়েছেন, তেমনি সরকার গঠনের পরে তিনি সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন, যার মধ্যে ছিল তৃণমূল সম্মেলন, ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন, উপজেলা সম্মেলন, ছাত্রদল পূণর্গঠন করেছেন, যুবদল গঠনে সহায়তা করেছেন, মূল দলের সংস্কার কাজে হাত দিয়েছিলেন। সারাদেশে সাংগঠনিক সফর করে দলকে এমন চাঙ্গা করে তুলেছিলেন, যাতে বিরোধী শিবিরে প্রবল ভীতির সঞ্চার হয়। সেকালের পত্রপত্রিকায় এর ভুরি ভুরি প্রমান রয়েছে। প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো তারেক রহমানের কার্যক্রম নিয়ে শুধু খবরই পরিবেশেন করেনি, ইতিবাচক সম্পাদকীয় পর্যন্ত ছেপেছে। অল্প সময়ে এক হাতে এত বড় বড় কাজ করার সফলতা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের আর কেউ দেখাতে পেরেছে কিনা, আমার সন্দেহ! আর এটাই ছিলো তারেক রহমানের বড় অপরাধ! এ সম্পর্কে সংবাদপত্রে তখন লেখা হতো, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছেন তারেক রহমান।”
তারেক রহমানের রাজনৈতিক রিচার্স সেলের সাফল্যে কাঁপন ধরে যায় বিরোধী শিবিরে। এ কারনেই ‘হাওয়া ভবন’ নিয়ে আওয়ামীলীগ শুরু করে মারাত্মক নেতিবাচক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। বিষয়টা এমন ছিল যে, তারেক রহমান যদি তার পরিকল্পনামাফিক সাংগঠনিক কাজগুলো শেষ করতে পারতেন, তাহলে রাজনৈতিক শক্তিতে বিএনপি আওয়ামীলীগকে অনেকদূর ছাড়িয়ে যাবে, ২০০১ সালে নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপি এবং আ’লীগের ব্যবধান ছিল ব্যাপক, ভবিষ্যতে এই ব্যবধান আরো বেড়ে যাবে–এটাই ছিলো আওয়ামীলীগের প্রধান আতঙ্ক। তাই হাওয়া ভবনের নাম নিয়ে দুর্নীতির নানা কল্পকাহিনী তৈরী করা শুরু করে। এমনকি ছাত্রলীগকে দিয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অফিস (হাওয়া ভবন) ঘেরাওয়ের মত কর্মসূচী দেয়া হয়েছিল। এ সম্পর্কে ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়,………“হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত করার একটি চেষ্টা ২০০১ সালের নির্বাচনের কিছুকাল পর থেকেই লক্ষ্য করা গেছে। হাওয়া ভবন সংশ্লিষ্টদের ২০০১ সালের নির্বাচনে ভূমিকা এবং বিপুল সফলতা হাওয়া ভবনকে টার্গেট হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।” একই বিষয়ে ভিন্ন ঘরানার সাংবাদিক সালেহ বিপ্লবের পর্যবেক্ষণ, “২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির বিরোধী শক্তি হাওয়া ভবনকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করেছে। তারা স্পষ্টই উপলব্ধি করেছিল, তারেক রহমান খুব ধীরে হলেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপির পরবর্তী কাণ্ডারী হিসেবে। বিপরীতে দাঁড় করানোর মতো কাউকে তখনো পাওয়া যায়নি। পাওয়া যাক বা না যাক, তারেক রহমানের ইমেজ নষ্ট করতে হবে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপিবিরোধী শিবির নিয়মিত বিষোদগার করে গেছে। এই কৌশল কাজে লেগেছে কি? লেগেছে!”
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জোটের ভূমিধস বিজয় ও তৎপরবর্তী সুসংগঠিত বিজ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির দ্বারা তারেক রহমান যেভাবে উঠে যাচ্ছিলেন, তা আওয়ামীলীগ এবং তাদের প্রাণভোমরা ভারতের চোখে আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয়। তাই ২০০১ সালে বিএনপি সরকারে আসার পর থেকেই তাঁকে টার্গেট করে ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ এবং ‘সরকারের ভেতরে সরকার’ বলে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা শুরু করে। এর বিপরীতে লিবারেল পলিটিক্সের বিএনপির ব্যবহার ছিল বেশ ভদ্রোচিত। ফলে বিএনপি বিরোধী ষড়যন্ত্রের পালে হাওয়া লাগে! তারেক রহমানের ইমেজ ধংস করার মিশনে আওয়ামীলীগের পুরাতন মিত্র ও প্রভু ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা একাট্টা হয়ে কোমড় বেধে লাগে, সফল হয় কুচক্রি ১/১১ সংঘটনের মধ্য দিয়ে, যাতে করে বাংলাদেশকে ঢোকানো হয় ভারতের রাডারের ভেতরে! এই চক্রটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মত তার সন্তানকেও বাংলাদেশে নেতৃত্বে দেখতে চায়না, বরং তাকে তার পিতার মতই বিপজ্জনক মনে করে। কোনো পপুলার ন্যাশনালিস্ট লিডার দাড়িয়ে গেলে বাংলাদেশকে করদ রাজ্য বানিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার আশা দূরাশা হয়ে যাবে, তাই তারেক রহমানকে পচাতে তার বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে শুরু করে মিথ্যা প্রচার প্রোপাগান্ডা ছড়ানো। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের কাছে পর্যন্ত ধর্ণা দিয়েছে লীগ ও প্রতিবেশিরা, নানান যায়গায় ফেইক কাগজপত্র ছড়িয়েছে, ঠিকানাবিহীন অনলাইন সাইটে উড়ো তথ্য দিয়ে ভরে ফেলেছিল।
আওয়ামীলীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের বানোয়াট অভিযোগ করে থাকে। অথচ এ দলটি ১১টি বছর সরকারে থেকেও বিশ্বময় তন্ন তন্ন করেও অদ্যাবধি খুঁজে বের করতে পারেনি–দেশে-বিদেশে তারেক রহমানের কোনো অবৈধ টাকার স্তুপ আছে বা একটা ব্যাংক একাউন্টে কোনো অবৈধ টাকা আছে কি না। কেবল গাল গপ্প দিয়ে তো আর মানুষকে বেশিদিন ভোলানো যায় না । শুধু তাই নয়, তাকে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড মামলা, দশ ট্রাক অস্ত্রের মামলায় জড়ানোর জন্যও সকল ধরনের প্রয়াস চালিয়েছে আ’লীগ সরকার। কিন্তু নিজেরাই ধরা গেছে মুফতি হান্নানের দেয়া এফিডেভিটে, “তারেক রহমানের সাথে কখনও দেখা হয়নি, তিনি গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িতও না”। এসব কারনে এই মামলা পেন্ডিং থাকেই তড়িঘড়ি করে অন্য মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় মুফতি হান্নানকে। এর মধ্য দিয়েই প্রকাশ হয়ে যায়, তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামীলীগের অসৎ ও ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের কথা। নিরপরাধ একটা মানুষ, যে কিনা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তান, কেবল রাজনৈতিক কারণে জেনারেল মইনের পেটোয়া বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলো; তারপরে কথা বের করার নামে অমানবিক অকথ্য নির্যাতন চালালো, এমনকি ৩০ ফুট উপর থেকে ফেলে দিয়ে মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হলো। খালেদা জিয়াকে দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠানো এবং রাজনীতি থেকে বের করার জন্য হেন কোনো অপচেষ্টা নাই, এরা করে নাই। এক পর্যায়ে গোয়েন্দাদের ব্লাকহোলে তারেক রহমানের ওপর নির্মম অত্যাচার করে তার চিৎকারও ভিডিও করে বেগম জিয়াকে জেলখানায় দেখিয়ে শুনিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে কাবু করার জঘন্য চেষ্টাও করেছে- ঠিক যেনো হিন্দি ফিল্মের কাহিনী! আজ বেরিয়ে আসছে, আমাদের বৃহদ পড়শীর পরিকল্পনায় এহেন অপকর্ম চালিয়েছে মইন ও তার দলবল। অতঃপর এরই ধারবাহিকতায় আসে হাসিনা সরকার, যারা ভুয়া ও মিথ্যা মামলায় একের পর এক রায় ঘোষনাকরী বশংবদ আদালত দিয়ে, যাতে করে তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা যায়।
এটা অনস্বীকার্য, হাওয়া ভবন ছিলো বিএনপির রাজনৈতিক অফিস। কিছু লোক রাজনৈতিক কাজে সেখানে যেতো, আবার কেউ কেউ ধান্দা নিয়েও যেতো। ওই ভবনের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই নানা দুর্নীতি করেছে–এমন অভিযোগের ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে বিরোধী পক্ষ। অথচ, সেই সময় তারেক রহমান নিজে আমাকে বলেছিলেন, “হাওয়া ভবনের নাম করে অনেকে এদিক ওদিক ফোন করার অভিযোগ পাই, আপনি সবাইকে বলে দিবেন, মন্ত্রী-সচিবরা যেনো এরকম কোনো ফোন এন্টারটেইন না করেন।” ঐসময় আওয়ামীলীগ থেকে প্রচার করা হতো, হাওয়া ভবনে বসে তারেক রহমানের বন্ধু নাকি দুর্নীতি করতেন এবং ঐসবের দায়দায়িত্ব নাকি তারেক রহমানের! একটা সত্য বিষয় যে, বন্ধুরা হাওয়া ভবনে বসতেন না, তারা কেবল আসতেন। যারা ব্যবসা করতেন, তাদের আলাদা অফিস ছিলো। এটা যার যার বিষয়। তাই কোনো বন্ধু বা অন্য কারো কৃত কর্মকান্ডের দায়ভার যার যার নিজস্ব, কোনো অবস্থাতেই এর দায়ভার তারেক রহমানের উপার বর্তায় না।
একথা অনস্বীকার্য যে, রাজনৈতিক কারনে এবং দাদাদের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার জন্যই আওয়ামীলীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের ঢালাও অভিযোগ করেছিল ও প্রোপাগান্ডা চালায়। তবে, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত বানোয়াট ও উড়ো অভিযোগগুলি আইনানুগ পন্থায়ই খারিজ হয়ে যাবে।
বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, বা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের শত্রুতা স্রেফ রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত। বিএনপি জনগনের ভোট বার বার ক্ষমতায় যায় বিধায়ই তারা জিয়া পরিবারকে টার্গেট করে মিথ্যা প্রচারণার ঝড় তোলে। এখনও যেকেনো সময় মোটামুটি সুষ্ঠু কোনো ভোট হলে আওয়ামীলীগের অন্তত দ্বিগুণ ভোট বা আসন পাবে বিএনপি। এটাই হলো আওয়ামীলীগের বড় সংকট। কিছু হলেই বিএনপি এবং তারেক জিয়ার নাম পেচিয়ে একটা উড়ো গল্প ছেড়ে দিবে। নির্বাচন করে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়, তাই আওয়ামীলীগ বেছে নিয়েছে বশংবদ কোর্ট, সেখানে দু’টি বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে, তাঁর ন্যায্য পাওনা জামিন ও আইনানুগ সুযোগ সুবিধাগুলি আটকে রেখেছে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে গত দেড় বছর ধরে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। নির্বাসিত জীবনে থেকে বিএনপির মত একটি মেগা দল চালানো নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ, তারপরে আছে আ’লীগ ও ভারতের কুচক্রান্ত! দেশে সুস্থ রাজনীতির কোনো পরিবেশ রাখেনি আ’লীগ। মিডনাইট ভোটের অবৈধ সরকার দলবাজ পুলিশ ও কিছু বিচারকের অবৈধ তৎপরতায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে দমন পীড়ন, কারো কারো নামে ৫০/৬০ থেকে শুরু করে ৩/৪’শটি করে মামলা, কত শত পরিবার ধংস করে ফেলেছে! রাজপথে নামলেই হয় গুলি, নয়তো ধরে নিয়ে গুম।
গত ২৯ ডিসেম্বরের মিডনাইট নির্বাচনের পরে দেশজুড়ে চলছে অস্থিরতা, দ্রবমূল্যের যাতাকলে পিষ্ঠ দেশবাসী আওয়ামী জাহেলিয়াতের অবসানের জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে। পরিস্থিতি এমন যে, যেকোনো মুহুর্তে গণবিস্ফোরণ হতে পারে। দল ও দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে একটি পরিবর্তনের। তারেক রহমানকে কেউ পছন্দ করুক কি নাই করুক, দেশের আপামর জনতা জানে, এ মুহূর্তে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়েই পূণঃপ্রতিষ্ঠা পেতে পারে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি তথা গণমানুষের দল বিএনপিকে পরিচালনা বা নেতৃত্ব নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে তারেক রহমানের কোনো বিকল্প নাই। তাই ভুল ত্রুটি শুধরে হলেও দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে, কেননা পরাধীন বাংলাদেশের মুক্তি খুব নিকটবর্তী।