দ্য আজাদ স্টাফ
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহকে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। দুপুর ২টায় মরহুমের পুত্র মাওলানা আনজার শাহ’র ইমামতিতে জানাজা সম্পন্ন হলে শোলাকিয়া ঈদগাহের পার্শ্ববর্তী বাগে জান্নাত গোরস্থানে মায়ের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
মরহুম আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ’র জানাজায় শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের চেয়েও বেশি লোক অংশ নেয়। দুপুর ২টায় জানাজার কথা থাকলেও বেলা ১২টায় পুরো ঈদগাহ ভরে যায়। শোলাকিয়া মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের বাড়িঘর ও রাস্তায় অবস্থান নেয় সাধারণ মানুষ। নামাজের কাতার ভেঙে একজনের সঙ্গে আরেকজন গায়ে গায়ে মিশে দাঁড়ালেও জায়গা হয়নি মাঠে। পুরো কিশোরগঞ্জ শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মাঠের পূর্বদিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়ায় জানাজায় আগত মুসল্লিরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জানাজায় অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মো. মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জানাজায় আল্লামা আহমাদ শফী’র ইমামতি করার কথা থাকলেও আবহাওয়া ও হেলিকপ্টারের সমস্যায় তিনি আসতে পারেননি।
জানাজাপূর্ব আলোচনায় দোয়া কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, রাজধানীর বারিধারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী, মাওলানা মাহফুজুল হক, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও দায়িত্বরত খতিব মুফতি মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহানসহ দেশের রাজৈনতিক বব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট আলেম-ওলামাগণ। আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ রাজধানীর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এ আলেমকে গত ১০ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যাওয়া হয়জ। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরেন তিনি। পরে তার শারীররিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ’তে নেয়া হয়। এরপর গতকাল বিকেলে তিনি চিরবিদায় নেন। সূত্র কালের কন্ঠ