দ্য আজাদ স্টাফ
দ্য আজাদ অনলাইন
আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে আবারো উপেক্ষিতই থেকে গেলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা। এবারও কোনো সুখবর পেলেন না তারা। গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে ঠাঁই মেলেনি তাদের।
কমিটিতে পরিবর্তন না আসায় সাবেক ছাত্রনেতারা কমিটি ঘোষণার পরই হতাশার কথা জানিয়েছেন। তবে তা কেউ প্রকাশ্যে বলেননি। অথচ প্রথমদিকের আলোচনায় কমিটিতে স্থান পাওয়ার ব্যাপারে ছাত্রলীগের অনেক সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক শীর্ষে ছিলেন।
জানা গেছে, আশি ও নব্বই দশকে দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে অবস্থান পাবেন বলে অনেকে আশা করছিলেন। অনেকের প্রত্যাশা ছিল, ২০০১ সালের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সাবেক ছাত্রনেতারাও ভালো অবস্থানে আসবেন কমিটিতে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাবেক ছাত্রনেতা প্রস্তুত ছিলেন নতুন পদ-পদবির জন্য। তাদের আশা ছিল, সর্বশেষ দু-তিন মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন যারা, অথচ সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে ব্যর্থ ছিলেন, তারা বাদ পড়বেন। কিন্তু ঘোষিত কমিটিতে কেউই বাদ পড়েননি। এমনকি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে ঘুমে ঢলে পড়ারাও কমিটিতে রয়েছেন।
উপদেষ্টা কমিটিতে আছেন গ্ল্যামারহীন সুশীল বুদ্ধিজীবী। অথচ জনপ্রিয় ও আওয়ামী ঘরানার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদেরও ঠাঁই মেলেনি। একইভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো আগের মতোই আছে।
জানা গেছে, তিন বছরে মাত্র দুটি সম্মেলন হয়েছিল সারা দেশে। অথচ শেষ এক মাসে অনেক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তখন প্রশ্ন উঠে, শেষ মাসে এত সম্মেলন কেন? সম্পাদকীয় পদে অবস্থানকারীরা কতটা সফল তার মূল্যায়নও কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। শুধু সভাপতির নাম ঘোষণার পর করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামীতেও রাজনীতি করার জন্য দৃপ্ত শপথ ঘোষণা করেন সবাই। কিন্তু বাকি পদের নাম ঘোষণার পর তেমন হাততালি পড়েনি, যা অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। বিভিন্ন টিভিতে সে দৃশ্যপট লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী বলেছেন, ‘রাজনীতি আমরা একজনের জন্যই করি।বাকিদের মাঠে-ঘাটে তেমন পাই না।’ তাই কে কী হলো তা নিয়েও তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই তাদের। উৎস টিডিসি