দ্য আজাদ স্টাফ
দ্য আজাদ ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কর্মী আহমেদ সালেহীন বলেন, আর কে মিশন রোডে স্থানীয় সয়ম দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন মতিঝিল এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে গোপীবাগ এলাকায় তার নিজের বাসায় ফিরছিলেন। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
“সেসময় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ জন সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এর পরে হাতাহাতি এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।”
স্থানীয় আরেকটি টেলিভিশনের সাংবাদিক আশেকীন প্রিন্স জানান, আর কে মিশন রোডে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি মূলত একটি নির্বাচনী ক্যাম্প। এটি একটি দোতলা ভবন। যার তিন তলার নির্মাণ কাজ চলছে।
তিনি বলেন, “ভবনটির দোতলায় কিছু সমর্থক ছিলেন যারা হাতাহাতির সময় উপর থেকে ইট-পাটকেল এবং চেয়ার ছুড়ে মারে। এতে সংবাদকর্মীসহ কয়েক জন আহত হয়।”
মিস্টার প্রিন্স বলেন, সংঘর্ষের সময় শুরুতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। কিন্তু কারা গুলি ছুড়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, নির্বাচন বানচালের জন্য তার প্রচারণায় হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিয়ম মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গোপীবাগে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে তার এবং তার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন।
তার দলের পক্ষ থেকে কেউ গুলি ছোড়েনি বরং তাদের উপর গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মিস্টার হোসেন।
এ ঘটনার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “এই হামলা সুপরিকল্পিত হামলা। বিএনপি প্রার্থী প্রচারণা না চালিয়ে তার বাসার সামনে থাকা নৌকার ক্যাম্পে গিয়ে কেন হামলা চালাবে, সেখানে কেন সে উপস্থিত থাকবে?”
পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২০ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। বিবিসি বাংলা প্রতিবেদন