দ্য আজাদ স্টাফ
নুরকে হামলা করে মোদি-অমিতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষে সংহতি জানিয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ‘ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
ড.তুহিন মালিক
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
ভিপি নুরদের অপরাধ, তারা কেন ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএবি) বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ভারতীয়দের প্রতি সংহতি জানাতে গেলো। অন্যদিকে ভিপি নুরদের পিটিয়ে মোদি-অমিতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষে সংহতি জানিয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ‘ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
এর আগে ছাত্রলীগ ঠিক একই রকমের সংহতি জানিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। আর আজকে বিজয় দিবসের একদিন পরে আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা‘ নামটি ব্যবহার করে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা নামটিকে চরমভাবে অপমানিত করলো। স্বাভাবিকভাবেই এর সম্পুর্ন দায়ভার সরকারের উপরেই বর্তায়।
অন্যদিকে দিল্লিতে ছাত্রছাত্রীদের ওপর মাথায় হেলমেট পরে নির্মমভাবে পিটানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ‘আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দিল্লিতে বাসে আগুন দিল পুলিশ’- এরকম আরেকটা নিউজ ছবিসহ ভাইরাল হয়েছে। এর জবাবে নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘গুজব ও মিথ্যা প্রচারে কান না দিতে।’
এগুলো দেখে আমাদের দেশের মানুষের চোখ চরকগাছে! ভারত আমাদেরটা কি করে শিখে নিলো? বাংলাদেশ সত্যিই রোলমডেল! আসলে, কেউ কারো রোলমডেল না। একরকম ঘটনা, একরকম বক্তব্য, একরকম এই কারনেই যে, উভয়টাই ঘটানো হচ্ছে এক জায়গা থেকেই। নয়তো ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নামটি ব্যবহার করে কেন আজ আমাদের ছাত্রদেরকেই পেটানো হবে? ভারতের চুক্তির পক্ষাবলম্বন করে কেন আমাদের বুয়েটের ছাত্রকেই পিটিয়ে মারা হবে? আমরা গতকাল বিজয় দিবস উৎযাপন করলাম। কার বিজয়?
লেখক ড.তুহিন মালিক আইন বিশেষজ্ঞ