দ্য আজাদ স্টাফ
নেতাদের কেউ কেউ রাতে আ.লীগের দিনে বিএনপির, বললেন দুলু
দ্য আজাদ ডেস্ক
সরকারের পতনের এক দফা আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে যখন আলোচনা ঠিক তখন তৃণমূলের অভিযোগ দলের মধ্যে অনেক দায়িত্বশীল নেতা রয়েছেন যারা দ্বৈত ভূমিকায়। শনিবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, তৃণমুলের পরিস্কার কথা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্দোলন প্রশ্নে- হয় এসপার, নয় ওসপার এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপস হলে আপস, না হলে সংগ্রাম এ নীতি হলে চলবে না। এভাবে হাটলে চলবে না। বিএনপির এনেতা বলেন, তবে তার আগে দরকার ঢাকা মহানগর কমিটিকে শক্তিশালী করা। ঢাকা অরক্ষিত রেখে তৃণমুলের আন্দোলনকে জোর দিলে হবে না। ঢাকার ব্যর্থতার কারণেই বিগত আন্দোলনে সফলতা আসেনি। আমি মনে করি ১০০ জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকার ১০০ ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা সম্ভব এবং তা তিন মাসের মধ্যে করা সম্ভব।
দুলু বলেন, আমরা এমন পর্যায়ের নেতা, এতই গুরুত্বহীন যে পার্টি ফোরামে আমাদের ডাকাও হয় না। আমরা তো সংগঠক। আমাদের উত্থান রাস্তা থেকে। পোস্টার, ওয়ালিং, মাইকিং করেছি। কখন কি করতে হবে এ অভিজ্ঞতা আমার আছে । অনেকে আছেন সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছেন। বাবা মন্ত্রীর ছিলেন তিনিও মন্ত্রী কিংবা বাবা রাজনীতি করতো সেই সূত্রে তিনি রাজনীতিতে এসেছে। তাদের কাছ থেকে কি আশা করেন। সত্যিকার অর্থে ওরা তো রাস্তার খবর, মানুষের মনের খবর বলতে পারবে না। আমি বলতে পারবো।
তিনি বলেন, পার্টির যৌথ সভা হয় সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেন। আমাদেরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতো তাহলে অবশ্যই সঠিক হতো। সিদ্ধান্ত বা আন্দোলন যাই বলেন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে যেতো।
দুলু বলেন, আমার নামে একশ’র উপরে মামলা। আওয়ামী শাসন আমলে সাত বছর জেলে গেছে। এরপরে আমরা আর কি পরীক্ষা দেবো। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা নেই। যদিও তাদেরকে আমি ছোট করতে চাই না। রাস্তায় আমার যে অভিজ্ঞতা ৭০ বছরের একজন তিনি সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমি এলাকায় থাকতে পারি না যেতে পারি না। আমি যদি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আপোস করে চলতাম তাহলে তো আমার এলাকায় যেতে কোনো সমস্যা থাকবে না। নিজের বাড়ি ঘর ছেড়ে ঢাকায় থাকতে হতো না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মিরপুরে আমি ত্রিশ বছর রাজনীতি করি ওখানে নির্বাচনের সময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। তাহলে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে যারা কাজ করছেন তারা কেন ঝুঁকি নেবেন। এমন অবস্থা প্রায়ই জায়গায়। আমি সবসময় বলে আসছি যারা যে এলাকায় রাজনীতি করে, যাদের সাথে ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে তাদের মধ্যে থেকে দেয়া হোক। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের দু চারজনের বিষয়ে ভিন্ন হতে পারে। এসব কারণে আন্দোলন জোরদার করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।আস