দ্য আজাদ স্টাফ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ও এস আই শুভ এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে জানাযায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন মধ্যে রসূলপুর বাগানবাড়ি এলাকায় গত ২৯/০৬/২০১৯ইং বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার চুরি করে একটি চোর চক্র। চুরির নেতৃত্ব দেন স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই ব্যাক্তি। রাস্তা থেকে বিদ্যুৎ এর খুঁটি চুরির কাজে এজাজ আহমেদ (৩০) ও সফিকুল ইসলাম (৪৭) নামের দুই চোরকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসে গিয়াস উদ্দিন। দিন দুপুরে এমন চুরি দেখেই হতবাক হয়ে যায় এলাকাবাসী। চোরদের আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে মুঠোফোনের মধ্যমে বিষয়টি জানান,পাগলা ৬ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশ এর সহ- সভাপতি রফিক লাল।
ফোন পেয়ে ওসি আসলাম হোসেন এস আই শুভকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে পাঠান ।এসময় ঘটনা স্থলে চুরির সংবাদ সংগ্রহ করতে যান দৈনিক গনজাগরন প্রত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টর শফিকুল ইসলাম শফিক। ঘটনার বিস্তরিত তথ্য সংগ্রহ করেন এই সংবাদকর্মী। আটক কৃত চোরদের মুখ থেকে পুলিশের সামনে বের হয়ে আসে সাদিয়া মঞ্জিলের মালিক মোহাম্মদ আলী সহ চোরদের মুল হোতা গিয়াস উদ্দিনের নাম। উপস্থিত জনতার সামনে চার জনের নাম খাতায় লিখে চোর এবং চুরিকৃত মালামাল সহ থানায় নিয়ে যান এস আই শুভ। পরে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে তদবির করতে থানায় যান রফিক লাল।এই সময় এস আই শুভর দাবীকৃত এক লক্ষ টাকা দেন- দরবার শেষে বিশ হাজার টাকায় রফা দফা করেন রফিক লাল (যার অডিও রেকর্ড দৈনিক নবচেতনায় সংরক্ষিত) ।
আসামী গিউদ্দিনকে আটক করার জন্য গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে এস আই শুভ অভিজানে গেলে গিয়াসউদ্দিনকে না ধরার জন্য এস আই শুভকে ম্যানেজ করেন মাসুম নামের এক ব্যক্তি। সেখান থেকেও বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। মূল চোর গিয়াসউদ্দিনকে বাদ দিয়ে ৩০/০৬/২০১৯ইং তারিখে ৬ মাস আগের বাসায় টাকা ও গহনা চুরির একটি পেন্ডিং মামলা দিয়ে দুজন চোরকে আদালতে প্রেরণ করেণ। যাহার মূল মামলা নং ৮৩ তারিখ ২৩/০৩/২০১৯ইং উক্ত পেনডিং মামলার বিষয়ে দৈনিক গনজাগরন প্রত্রিকার অফিসের টিএনটি নাম্বারে ওসি আসলাম হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের থানায় আসতে বলেন। সন্ধা সাত টায় উল্লেখিত প্রত্রিকার চীফ রিপোর্টার সেলিম নিজামি, স্টাফ রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম শফিক, ও ক্যামেরা পার্সোন ইউসুফ ওসির কক্ষে প্রবেশ করে ওসি আসলামের অনুমতিক্রমে ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই ঘটনটি আড়াল করার চেষ্টা করেন। পরে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি বার বার জানার চেষ্টা করলে তিনি একপর্যায়ে সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
ওসি আসলাম অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীদের বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, ভূয়া সাংবাদিক আটক করা হয়েছে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা থানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি কৌতুহলি মনে হওয়ায় গভির থেকে জানার চেষ্ট করেন। কিন্তু ওসি আসলাম সহ তৎকালীন জেলা পুলিশের ডিআই ২ সাজ্জাদ রোমন ও তৎকালীন ওসি তদন্ত হাসানুজ্জামান সংবাদকর্মীদের চাঁদা দাবীর মিথ্যা একটি নাটক সাজিয়ে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাতের বেলায় সাংবাদিক সেলিম নিজামি ও ক্যামেরা পার্সোন ইউসূফকে চোখ বেধে অমানবিক অত্যাচার করেন ওসি আসলামের মনোনীত পেটুয়া বাহিনীর পুলিশগণ। পরের দিন সকালে ০১/০৭/২০১৯ইং ওসির কাছে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর মিথ্যা একটি অভিযোগ তুলে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করেন।
মামলা নং-০২ তারিখ ০১/০৭/২০১৯ইংওসির দায়ের করা মিথ্যা মামলায় দুই সংবাদকর্মী সহ ক্যামেরা পার্সোন ও গাড়ি চালক ১৪দিন কারা ভোগ করেন। সংবাদকর্মীদের সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন সহ গাড়িটি জব্দ করে মামলা দায়ের করেন। ১৪ দিন পর জামিনে বের হয়ে আসেন ঐ সংবাদ কর্মীরা জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে উক্ত মিথ্যা ও বানোয়াট ও চাঁদাবাজির মামলার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে ওসি আসলামের বিচার সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।যাহা জাতীয় ও অনলাইন ভিত্তিক অনেকগুলো পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় ফলাউ করে সংবাদ প্রচার করা হয়।
ওসি আসলাম ও এস আই শুভর চক্রান্ত মূলক মিথ্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তারবিরুদ্ধে গনজাগরনের চিফ রিপোর্টার সেলিম নিজামির স্বাক্ষরিত ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা তুলে ধরে বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার, সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও পুলিশের মহা পরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ও প্রেস কাউন্সিলের সচিব স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ বরাবর পাঠালে মামলাটির অদ্যবদি কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। অনুসন্ধানে জানা যায় এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটার এতো দিন পেরিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে আছেন ওসি আসলাম হোসেন ও এস আই শুভ।
ঘটনার আট মাস পরে সংবাদকর্মী শফিকুল ইসলামকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সালেকুজ্জামান ফোন করে থানায় যেতে বলেন। শফিকুল ইসলাম থানায় গেলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন।পরে এই কাগজটিতে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে অনেক আকুতি মিনতি করে স্বাক্ষরটি করতে বলেন। স্বাক্ষর করতে রাজি না হওয়ায় ওসির রুমে নিয়ে যান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত এস আই সালেক । ওসি আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের জেল খাটানোর বিষয়টি ভুল বুজাবুজি বলে কাগজটিতে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক শফিককে ।স্বাক্ষর নেয়ায় ব্যর্থ হয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার সাথে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে জবানবন্দি দিতে বলেন পুরো ঘটনাটির। এবং এস আই শুভ সাংবাদিক শফিকুল ইসলামকে এই ঘটনাটি বাদ দেওয়ার জন্য ও তাকে মাফ করে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে মুঠো ফোনে ফোন করলে হয়তো ব্যস্ততার কারনে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।তবে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মুঠো ফোনে ফোন করে বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি বলেছেন আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো তাছাড়া ওসি যদি বলে থাকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা অথবা মামলার চার্জশিট দিয়েছে বলেন সে বিষয়টি ভুল তাছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়ে ওসি কোন মন্তব্য করতে পারে না । অন্য প্রশ্নের জবাবে বলেন জব্দকৃত মালামাল সহ চোরদের কে থানায় এনে যদি উৎকোছের বিনিময়ে রাষ্ট্রিয় সম্পদ চুরির মামলা না দিয়ে পেন্ডিং মামলায় আসামী করে চোরদের জেল হাজতে প্রেরণ করে থাকে তাহলে এইটা সম্পূর্ন অন্যায় ও বেআইনী সাংবাদিককে যদি ওসি ও এস আই থানায় ডেকে এনে স্বাক্ষর নিতে চেয়ে থাকে তাহলে আপনি তাকে ( সেই সাংবাদিক কে ) আমার কাছে পাঠিয়ে দিন আমি বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নিবো।
মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের বিষয়ে ওসি আসলামকে মুটো ফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনাদের সাথে আমার কোন দন্দ নেই এই বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি মাত্র। তাছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমেই আমি চার্জশীট দিয়েছি তবে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সালেক বলেন এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমি চার্জশিটের যে রিপোর্ট দিয়েছি তা ওসি স্যারের নির্দেশেই দিয়েছি।আমি জানি আপনারা প্রকৃত সাংবাদিক।অভিযুক্ত এস আই শুভর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন আমি বৈদ্যুতিক খুটি সহ দুজন চোরকে থানায় নিয়ে এসেছি এটা সত্য তবে রাষ্ট্রিয় সম্পদ বৈদ্যুতিক খুটি চুরির মামলা না দিয়ে পেন্ডিং মামলা কেন দেওয়া হলো এটা ওসি স্যার ভাল বলতে পারবেন।অথচো সেই মামলাই নাটক সাজিয়ে ওসি আসলাম তৎকালীন এসপি হারুনের খুটির জোরে মুলধারার সাংবাদিকদের অন্যায় ভাবে জেল খাটিয়েছেন ।
মূলআসামীদের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আসামীদের জিজ্ঞেস করেন আমি টাকা নিয়েছি কিনা ! অথচ যারা টাকা দিয়েছে তারা নিজেদের মুখেই স্বীকার করেছেন সাংবাদিকদের কাছে ।পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ এই শ্লোগানকে ম্লান করে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহকারী সংবাদকর্মীদের ১৪ দিন জেল খাটালেন ওসি আসলাম। চল্লিশ হাজার টাকা উৎকোচ এর বিনিময়ে প্রকৃত চোরকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন তাহারা। ভুক্তভুগী সাংবাদিক সেলিম নিজামী ও শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমাদেরকে বিনা অপরাধে ১৪ দিন কারা ভোগ করিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি। আমাদের একটাই আপরাধ পুলিশের অনিয়ম ও রাষ্টের সম্পদ চোরদের বিষয়টি বস্তনিষ্ঠভাবে জাতির সম্মুখে তুলে ধরতে চেয়ে ছিলাম আমরা ওসি আসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে সাস্তির দাবী জানাই যে ভিডিওর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে সেই ভিডিও গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হোক, ভিডিওটি ধারা আমরা যদি অপরাধী প্রমানিত হই দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে শাস্তি হয় আমরা তা স্বেচ্ছায় মাথা পেতে নিব ।