দ্য আজাদ স্টাফ
বাংলাদেশের সাবমেরিনকে চাপে রাখতে মিয়ানমারকে সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত
দ্য আজাদ ডেস্ক
মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেশটিকে শিগগিরই একটি সাবমেরিন হস্তান্তর করতে যাচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের কেনা দুটি চীনা মিং-ক্লাস সাবমেরিনকে চাপে রাখতেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে এই নৌসম্পদ হস্তান্তর করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলা নীতির অংশ হিসেবে রাশিয়ার তৈরি সাবমেরিন আইএনএস সিন্দুবীরকে হস্তান্তর করা হবে। ৩,০০০ টনের এই সাবমেরিন তৈরি হয়েছে ৩১ বছর আগে। তবে এটি ভারত ও রাশিয়ায় নিয়মিত সংস্কার করা হয়েছে। ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিনটির সর্বশেষ রিফিটের কাজ করা হয় বিশাখাপট্টমের হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ডে।
যোগাযোগ করা হলে সাবমেরিন হস্তান্তরের ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করে নৌবাহিনী। তবে সূত্রগুলো রোববার জানায় যে মিয়ানমার আগামী বছরের এপ্রিল-মে থেকে এই সাবমেরিনের সাহায্যে পানির নীচে যুদ্ধের জটিল কলা-কৌশল সম্পর্কে তার নাবিকদের প্রশিক্ষণ দেবে।
রাশিয়া থেকে একই ধরনের কিলো-ক্লাস সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক মিং-ক্লাস সাবমেরিন সংগ্রহ করলে মিয়ানমারও সাবমেরিন সংগ্রহের প্রতি মনযোগী হয়। চীনের সহায়তায় কক্সবাজারে সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারকে সাবমেরিন দেয়া ছাড়াও ভারতের ভিজাগে অবস্থিত সাবমেরিন স্কুল আইএনএস সাতাবাহানায় মিয়ানমারের নাবিকদের সাবমেরিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে ভারত থেকে মেবাইল ট্রেনিং টিম ইয়াঙ্গুন যাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
মিয়ানমার হলো একমাত্র আসিয়ান সদস্য যার সঙ্গে ভারতের ১,৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত ও সমুদ্র সীমা রয়েছে। মিয়ানমারে চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাবের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পারলেও ২০১২ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং মিয়ানমার সফরের পর থেকে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা জোরদারের চেষ্টা করছে নয়া দিল্লি।
মিয়ানমারের সামরিক অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও দেশটির সঙ্গে নিয়মিত মহড়া ও সংলাপের আয়োজন করছে ভারত। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ইমবেক্স মহড়ার পরবর্তী সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে।
মিয়ানমারকে ভারত সামরিক হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছে। এর মধ্যে রয়েছে আইল্যান্ডার মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট, নেভাল গানবোট থেকে শুরু করে ১০৫ মিলিমিটার হালকা কামান, মর্টার, গ্রেনেড ল্যান্সার ইত্যাদি।
মিয়ানমারের ফ্রিগেট ও করভেটে ব্যবহারের জন্য ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লি.-এর তৈরি রাডার ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামও সরবরাহ করা হয়েছে। উৎস:সাউথ এসিয়া মনিটর