দ্য আজাদ স্টাফ
বাংলাদেশ-ভা’রত সীমান্তে বি’এসএফ ও ভা’রতীয় নাগরিক কর্তৃক হ’ত্যা বন্ধে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, সীমান্তে হ’ত্যা বন্ধে সরকার কূটনৈতিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের মোহাম্ম’দ সাহিদুজ্জামান।
জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, গত ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভা’রতে অনুষ্ঠিত বিজিবি বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে হ’ত্যাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে বি’এসএফ একমত পোষণ করেছে। আন্তঃসীমান্ত অ’প’রাধ ও চো’রাচালান রোধে সীমান্ত এলাকা নজরদারিতে রাখার জন্য বিজিবি ইউনিটগুলো সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় বিএনপির মো. হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওতে সর্বমোট ২৬ হাজার ২৪০ জন ভা’রতীয় কর্ম’রত রয়েছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের মো. নাছিমুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান জানান, সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃংখলা উন্নয়নে এবং নি’র্মম ও হৃদয়কে ব্যথিত করে তোলে এমন অ’প’রাধ; যেমন নারী ও শি’শু ধ’র্ষণ প্রতিরোধে সবচেয়ে সফল। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে র্যা’বের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে সামাজিক অ’প’রাধমূলক কর্মকা’ণ্ড উল্লেযোগ্য মাত্রায় কমেছে। একইসঙ্গে জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরপর সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুটি দেশের সাথে বাংলাদেশের ব’ন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। দেশ দুটির হচ্ছে- ভা’রত ও সংযু’ক্ত আরব আমিরাত।