দ্য আজাদ স্টাফ
বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত
মির্জা আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার আর রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে। তিনি রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র উদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী শহরের সিএন্ডবি রোডস্থ কাজী সুপার মার্কেটের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আবদুল মোমেন খান স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি আসম আব্দুর রব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানাচ্ছে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার সরকার করে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ইতো বানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা গণতন্ত্রের চেতনা, সে চেতনাকে নিয়ে আমরা লড়াই করছি। ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে এদেশে গণতন্ত্রমুক্ত হবে না। কারণ গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বেগম খালেদা জিয়া সেই নেত্রী যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন। তিনি স্বৈরাচারকে পরাজিত করে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বিজয় অবশ্যই হবে, বাংলাদেশের মানুষ কখনও কোনও আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। আজ আমরা ন্যায়ের পথে ও সত্যের পক্ষে আছি। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত লুটপাট করে এদেশকে শোষণ করেছে এবং একইভাবে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রেখেছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখলে তারা ভোট চুরি করে বার বার ক্ষমতায় আসতে পারতো না। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র একে অপরের সম্পূরক। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমান সরকার ভারতের দালালি করছে। তারা আমাদের দেশের ন্যায্য হিস্যা তিস্তার পানির সুসম বন্টন চায় না। তারা চায় শুধু ভারতকে খুশি রাখতে । যাতে করে ভারত তাদেরকে ক্ষমতায় থাকতে সহযোগিতা করে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি আসম আব্দুর রব, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সহ-সভাপতি মনজুর এলাহী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া ইরান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে: কর্নেল (অব) জয়নুল আবেদীন, জামাল আহমেদ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক ছাত্র নেতা ফেরদৌস আহমেদ খোকন, আবদুল মোমেন খান স্মৃতি সংসদের আহবায়ক বাবুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন মৃধা প্রমুখ।