দ্য আজাদ স্টাফ
ব্যয় বেড়ে ৩০১৯৩ কোটি টাকা
দি আজাদ ডেস্ক
পরিবারের অনেকেই ঢাকায় চাকরি করে। পদ্মা নদী পারাপারে অনেক সময় লাগছে। তাই বন্ধের দিনেও তারা বাড়িতে আসতে পারে না। শুনছি পদ্মা সেতু শেষ করতে আরও দুই বছর লাগবে।
সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ খুঁজে পাবে নতুন দিনের অপার সম্ভাবনার ঠিকানা। এভাবেই শিমুলিয়াঘাটে পদ্মা সেতুর চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারে ফরিদপুৃর জেলার ভাঙ্গা থানার উচাবাজার গ্রামের শ্রী হরিদাস অনুভূতির কথা জানান।
শুধু ওই হরিদাসেরই এটা কথা নয়, পদ্মার এপার-ওপারসহ সব মানুষের একই কথা স্বপ্নের জাল ছিড়ে দ্রুত আলোরমুখ দেখুক। কাজ শুরুর আগেই বিশ্বব্যাংকের অপবাদ দুর্নীতির জবাব দিতে নিজের অর্থেই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা ছিলো।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। পূর্ণমাত্রায় রূপ দিতে সরকার তিনবার সংশোধন করেছে। এতে ব্যয় বেড়ে তিন ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে দুপাশ ছাপিয়ে পদ্মার বুকে ৬ দশমিক ১৫ কি.মি. সেতুর কাজ এগিয়ে গেছে বহুদূর। ভারী ক্রেন ও বিশেষ হ্যামারে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩৪টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে।
সম্প্রতি ১৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে আড়াই কিলোমিটারের বেশি। মূল সেতুর অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ। চলতি মাসে বসবে পাঁচটি স্প্যান। দৃশ্যমান হবে ৩ হাজার ৩০০ মিটার। সব কাজ শেষ করে ২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, সেতুর উভয় দিকে সংযোগ সড়ক ও অবকাঠমোর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। নদী শাসনের কাজ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।
সব মিলে পদ্মা সেতুর অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭টি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই মাসে আরও ৩ থেকে ৪টি বসানো হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশাল কর্মযজ্ঞের এ প্রকল্পে অনেক কিছু জড়িত। তাই প্রাক্কলন ঠিক থাকেনি।
সময়ের পরিবর্তনে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের পাইল বসানোর কাজ হয়ে গেছে। পদ্মা সেতুর বড় সমস্যা আমরা ওভারকাম করেছি। তেমন কোনো সমস্যা আর নেই। তাই আশা করা যায় ইনশাল্লাহ ২০২১ সালের জুনে শেষ করা হবে।
সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দোতলা পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুর, শরীয়তপুরের জাজিরায়। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা হচ্ছে ৪২টি। প্রতিটি পিলারে রাখা হয়েছে ছয়টি পাইল।
একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব হচ্ছে ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হচ্ছে বাংলাদেশে।
ফিটিং করা হচ্ছে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আর নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।
বহুমুখী পদ্মা সেতুর আকৃতি হবে দোতলা। নিচে থাকছে রেলপথ। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর অবকাঠমো। এ কাজের জন্য অত্যন্ত ভারী ক্রেন ও হ্যামার আনা হয়েছে বিদেশ থেকে।
তারপরও কাজে ভাটা পড়ে প্রমত্তা পদ্মার স্রোতে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মূল সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো শুরু হয়। কিন্তু নদীতে চর পড়ার কারণেও কাজের ছন্দে খানিকটা ভাটা পড়ে। তাই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। স্প্যান বসানোর কাজও পিছিয়ে গেছে। তাই মূল সেতুর অগ্রগতিও কম হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ইতোমধ্যেই ৩৪টির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান রয়েছে ৮ পিলারের কাজ। পিলারের ওপর এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১৭টি স্প্যান।
ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও বসবে কয়েকটিতে। নাব্যসংকটের কারণে উচ্চক্ষমতার ড্রেজার দিয়ে রাত-দিন ড্রেজিং কাজ চলছে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে কাজ।
চলতি মাসে ১৭-১৮, ১৮-১৯, ২১-২২ ৩২-৩৩ ও ৩১-৩২ নাম্বার পিলারের ওপর বসবে ৫টি স্প্যান। এই ৫টি স্প্যান বসানো হলে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে ৩ হাজার ৩শ মিটার।
প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, আমাদের টার্গেট হলো ডিসেম্বরে আরও পাঁচটি স্প্যান বসাবো। জুনের দিকে সব স্প্যান বসানো হবে। সেতুর লম্বা লাইন দৃশ্যমান এখন জাজিরা প্রান্তে।
এক সঙ্গে ৯টি স্প্যানে দেখা যায় প্রায় দেড় কিলোমিটার। ইয়ার্ডে জায়গা না থাকায় পিলারের ওপর রাখা হচ্ছে অস্থায়ী স্প্যান। বর্ষার প্রতিকুলতা কাটিয়ে কাজ শুরুর পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব মিলে পাঁচটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের।
৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪০টি পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে পদ্মা সেতু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, ব্যবসার সুবাদে মাঝে মধ্যেই ঢাকা আসতে হয়, পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের সময় স্বপ্ন পূরণ হবে। ঘাটে আর অপেক্ষা করতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হবে না পদ্মা নদী।
সূত্র জানায়, আগামী ১০ ডিসেম্বর ৬ ও ৩০ নম্বর (পিলার) খুঁটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। বাকি ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাজ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া রেলওয়ে ২৯৫৯টি প্রিকাস্ট স্লাবের মধ্যে ২৯৩০টি ও রোড ওয়ে প্রেকাস্ট স্লাব ২৯১৭টির মধ্যে কংক্রিটিংসহ ১৭০০টি শেষ হয়েছে।
সম্প্রতি ১৭তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর আড়াই কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। আগামী ২০২১ সালে সেতু খুলে দেওয়া হবে— এমনটাই আশা ব্যক্ত করছেন পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। আর এরই মধ্য দিয়ে পূরণ হবে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ২০০৩-৪ অর্থবছরে জাইকার কারিগরি সহায়তায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। তার ভিত্তিতে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় করার জন্য সরকার ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট অনুমোদন দেয়।
এরমধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থার ঋণ ধরা হয় ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় করার কথা। বাস্তবায়ন করার কথা ছিলো ২০১৫ সালের জুনে। কিন্তু শুরু হয়নি কাজ।
পরে ডিজাইন পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি সরকার প্রথমবারের মতো সংশোধন করে প্রকল্পটি। তাতে একলাফে ব্যয় বেড়ে ধরা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ ধরা হয় ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। সময়ও বাড়ানো হয় ছয় মাস অর্থাৎ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সরকার ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখতে সংশোধন করে।
কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ করে ঋণ বন্ধ করে। সেই পথে হাটে অন্যান্য সংস্থাগুলোও। বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থেই এই সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। কাজও শুরু হয়।
মূল সেতু নির্মাণে চীনের কাজ দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে। আর নদীশাসনের কাজ চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
তবে দুই প্রান্তে টোল প্লাজা ও সংযোগ সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডকে।
সূত্র আরও জানায়, অর্থায়নের উৎস পরিবর্তনসহ নতুন করে কয়েকটি অঙ্গ যোগ এবং কয়েকটি অঙ্গের পরিমাণ কম-বেশি করার জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করার প্রস্তাব করে।
২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা বলে। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি সংশোধন করে ব্যয় বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। একই সঙ্গে চার বছর সময়ও বড়িয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার জন্য সময় বেধে দেয়।
এটি পাঁচটি প্যাকেজে করার কথা। প্রকল্পে প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয় ভূমি অধিগ্রহণ ১৫৩০ বা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জাজিরা ও মাওয়ার সংযোগ সড়ক নির্মাণ ১২ কিলোমিটার।
প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদী শাসন, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজাসহ অবকাঠামো নির্মাণে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর রেল সংযোগসহ ৬ দশমিক ১৫ কি.মি সেতু নির্মাণ। তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। সেতু ভবন বর্ধিতকরণ ৬৬ হাজার বর্গফুট।
ইতোমধ্যে জাজিরা ও মাওয়া সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। তবে নদী শাসনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রথমে সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমি অধিগ্রহণের কথা হলেও সেতু মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল প্রায় ১১৬৩ হেক্টর বা ৮ হাজার ৭২০ বিঘা জমি অধিগ্রহণের জন্য একটি ডিও লেটার পাঠায় পরিকল্পনা কমিশনে।
তাতে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ও প্রস্তাব করে। কারণ হিসেবে বলা হয় প্রথমে চর ধরা হলেও তাতে পলি পড়ে উঁচু হওয়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে জেলা প্রশাসন জানায়।
সরেজমিন পরিদর্শন করে ৬ অক্টোবর আইএমইডিও ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া দেড় বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে। সব কিছু বিবেচনা করে শেষ বারের মতো সরকার প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। একইসঙ্গে দেড় বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
বহুপ্রতীক্ষিত এই সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেন, ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তিনি জানান, সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি হয়েছে একশ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে বলে যা বলা হচ্ছে তা মূলত জমির বেশি দাম ও ট্যাক্স পরিশোধের কারণে। সংবাদটি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন আমার সংবাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি বিএম শহিদুল্লাহ এবং শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি শাজাহান খান।উৎস:আমার সংবাদ