দ্য আজাদ স্টাফ
ভারতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বিশ্ববিদ্যালয়
বিদেশ ডেস্ক
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া পুলিশের সহিংসতার নিন্দা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হাভার্ড, ইয়েল, কলম্বিয়া, স্ট্যানফোর্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে গোটা বিশেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার চারশ’র বেশি শিক্ষার্থী এক বিবৃতিতে ভারতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা পুলিশি সহিংসতা বন্ধের দাবি জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে তাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানাই।’
আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দেয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় শিক্ষার্থী। ভারতে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করতে দিতে হবে দাবি করে তারা বলেন, ভারতের সংবিধানে এই বিষয়টির নিশ্চয়তা দেয়া আছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী এবং অ্যাক্টিভিস্টদের প্রতিবেদন এবং সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত পুলিশ এবং সংসদীয় বাহিনী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মারাত্মক এবং মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা আসামে প্রতিবাদকারীদের উপর সহিংসতার আশ্রয় নেয়ার জন্য তীব্র নিন্দা জানান। আসামে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তারা ভারতের প্রধান বিচারপতির দেয়া বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রধান বিচারপতি এসব প্রতিবাদকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেন এবং পরিস্থিতিকে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, ‘পুলিশের সহিংসতা বন্ধে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জলদি পদক্ষেপ নিতে কিংবা পদত্যাগ করতে আহ্বান জানাই।’
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাউথ এশিয়ান ল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব হাভার্ড ল স্কুল এবং ফ্লেচার প্রগ্রেসিভ ইনিশিয়েটিভ অব টাফটস ফ্লেচার স্কুল অব ল এন্ড ডিপ্লোমেসি এর শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের ভারতীয় আইন শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনের ওই আইনটি পাশের নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিটি স্বাক্ষর করেছেন সাতশ’র অধিক শিক্ষার্থী, যার বেশির ভাগই ভারতীয়।
১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ সম্পর্কে তারা বলেন, ‘ভিন্নমতকে রুদ্ধ করার এমন প্রচেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখান করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের অ্যাকশনে কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন এবং বেশির ভাগই ছিলেন শিক্ষার্থী।