দ্য আজাদ স্টাফ
ভিডিও ধারণ করার জন্য দ্বিতীয় দফায় শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারই বন্ধু মাহফুজুর রহমান সারদ।
আদালতের কাছে রোববার এমনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার দুই আসামি তারেক মাহমুদ জয় ও জীবন। এছাড়া সোম ও মঙ্গলবার সারদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মতিহার থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সেও এমন তথ্যই দিয়েছে।
মঙ্গলবার সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে নিজের মেসে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে সারদ। পরে পূর্বপরিকল্পনামতো পাশের কক্ষ থেকে তার পাঁচ বন্ধু আসে। তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ওই ছাত্রীর কাছে। এ সময় ওই ছাত্রী জানান, এ মুহূর্তে টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তখন দ্বিতীয়বার সারদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চাপ দেয়। তখন সারদ ছাত্রীকে সবার সামনেই ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, সারদের বন্ধুরা তখন তা নিজেদের ফোনে ভিডিও করে। এরপর মেয়েটি সাড়ে তিন হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছ থেকে নিয়ে দেয় সারদকে। তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। পুরো ৫০ হাজার টাকাই তারা দাবি করে। পরে মেয়েটিকে রাতেই তারা ছেড়ে দেয়।
আসামিদের মধ্যে সারদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। আর তারেক মাহমুদ ওরফে জয় ও জীবন স্থানীয় তরুণ।
এদিকে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের এমন ভয়ংকর অপরাধে জড়ানোর ঘটনা মানতে পারছেন না অন্য শিক্ষার্থীরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন তারা।
সারদের এক সহপাঠী বলেন, সারদ খুবই ভদ্র ছিল। তার এমন অপরাধে জড়ানোর ঘটনা মানতে পারছি না। তবে মুখ দেখে তো আর মানুষের ভেতরটা যাচাই করা যাবে না। এটাই প্রমাণ হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালক ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল হাসান সুফী বলেন, পরিবারের কাঠামো ভেঙে যাওয়া এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটছে। দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিলে অপরাধ কমবে।
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সেল সক্রিয় করা হবে, যাতে অপরাধপ্রবণ শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা যায়।সূত্র সমকাল