দ্য আজাদ স্টাফ
যারা মুক্তিযুদ্ধের নামকে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে,মুক্তিযুদ্ধের সম্মানকে কলংকিত করে তারা আরএসএস’র দালাল
ড.তুহিন মালিক
পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর পক্ষ হয়ে এদেশের মানুষকে যারা মেরেছিল। তাদেরকে আমরা রাজাকার নামে ডাকি। আর ভারতের উগ্র হিন্দুবাদী বিজেপি ও তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসের পক্ষ হয়ে যারা আবরার ফাহাদ থেকে শুরু করে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে মারলো। তাদেরকে আমরা ঠিক সেইভাবেই ভারতের দালাল বলেই জানি।
যে পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য মানুষ লড়াই করেছিল। অথচ মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই মানুষগুলোই সেই পাকিস্তানী চেতনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল।
আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের নামকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, মুক্তিযুদ্ধের সম্মানকে কলংকিত করে। ভারতের উগ্র হিন্দুবাদী বিজেপি ও তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসের পক্ষ হয়ে এদেশের ছাত্রদের মেরে চলেছে। ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী এইসব ভারতীয় দূর্বৃত্তের দেশবিরোধী এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এভাবে চলতে থাকলে। অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানী চেতনার মতই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজীকেও মানুষ এদের কারনে ঘৃণার সাথে উচ্চারণ করবে।
আজ আমরা ইয়াহিয়া খানদের নামটা যেমন ঘৃণার সাথে উচ্চারণ করি। অদূর ভবিষ্যতেও ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ভারতের উগ্র হিন্দুবাদী বিজেপি ও আরএসএসের এইসব দালালদের নামও এদেশের মানুষ ঘৃণাভরে উচ্চারণ করবে। আর ইয়াহিয়ার নামের জায়গায় এদের মা জননীর নামটাও তখন চলে আসবে।
লেখক ড.তুহিন মালিক আইন বিশেষজ্ঞ