দ্য আজাদ স্টাফ
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বাণী
দি আজাদ ডেস্ক বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ঐতিহাসিক শহীদ ডাঃ মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডা: শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হন। এই শোকাবহ ঘটনার স্মরনে ১৯৯১ থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত হয়ে আসছে। ডা. মিলনের আত্নত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়, এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন —
বাণী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ‘৮০’র দশকে সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডাঃ মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা: মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।
আমাদের গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দু:স্বপ্ন এখন ভয়াল রুপ ধারণ করে বাস্তব রুপ লাভ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।
‘অবৈধ সরকার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ #ShaheedMilonDay #শহীদমিলনদিবস