দ্য আজাদ স্টাফ
স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস ২০১৯ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বাণী
দি আজাদ ডেস্ক
সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলো:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ ৯ বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিলো সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের। যে স্বৈরশাসক এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙ্গে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সাংবিধানিক রাজনীতি স্তব্ধ করেছিল। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুপাক্ষিক ও বহুদলীয়। যার পূণঃপ্রবর্তন করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচারী এরশাদ একে একে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারাকে করেছিল বাধাগ্রস্ত। এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিলো আমাদের গণতন্ত্র। আজ সেদিনের পরাজিত শক্তি ও তার দোসর’রা সেই আন্দোলনের কিংবদন্তীসম আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী করে রেখে আবারও গণতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করেছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দিতে হবে। আজকের এ দিনে আমি ‘৮২ থেকে ’৯০ পর্যন্ত রক্তস্নাত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ স্মরণীয় দিনে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্রের হেফাজতকারী দেশবাসীকে।
আমাদের গণতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে তার অগ্রযাত্রায়। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সকল বাধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘœ করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শংকা মুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসন চলছে বর্তমানে বাংলাদেশে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। এই একতরফা নির্বাচন করে আবারও সারা জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতাকে করা হয়েছে বিপন্ন। একদলীয় বাকশালী চেতনার দল ও আশির দশকের গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার একত্রিত হয়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ করেছে। গণতন্ত্রকামী সকল দলের মিলিত শক্তিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তি সংবিধান বর্ণিত জনগণের মৌলিক অধিকার ক্রমাগতভাবে হরণ করে যাচ্ছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে স্থায়ী রুপ দিতে দেশবাসীকে আজকের এই দিনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহবান জানাই।
আল্লাহ হাফেজ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ